খোলসের আবরনে আমি

আজকাল অপারগতার কথা কাউকে বলতেই ভয় হয়। ভয় হয় যাকে বললাম তাকে কথার ভার দিয়ে ফেললাম না তো...? কথার ভার খুব বড় বেশি ওজনদার না হলেও জলের ভারের চেয়ে কম কিছু নয়। আর সে জন্যই আজকাল দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও অপারগতার কথা, কষ্টে কথা প্রকাশ করা হয় না আমার। সেই এত টুকুন বয়স থেকে নিজেকে ঢেকে রাখার স্বভাব আমার নিজেকে নিজের মাঝে। সময়ে-অসময়ে ভেবে বসি যেন আমি ঝিনুকের পুত্র। শক্ত খোলসের ভেতরই থাকুক না হয় আমার বাসবাস। দুনিয়া জোড়া আলোর ছটায় কত রুপ যে ভেসে বেড়ায় এক-একটি বার, স্বাদ জাগে দেখি চোখ মেলে আবার মনে পড়ে যায় সেই কথা আমি যে একা, আমাকে নিজের মাঝেই ঢেকে রাখতে হবে
নিজেকে নিয়েই যতো ভয়, তারপর নিজেকে নিয়ে ক্ষয়। এক সময় অচলাবস্থা। নিজেকে নিয়ে কত কি ভাবা। হেরে যাবার গল্প বলতেও সেই অপরাগতা। মনে মনে একটা কথা ঠিক তোলা থাকে- ডুবে যাবার আগে, শেষ হয়ে যাবার আগে ঠিক একবার বিস্ফোরিত হবো, প্রকাশিত হবো।
আমার ছেলেবেলা আমাকে কখনো ডাকে না, কারন আমার ছেলেবেলা ছিল এখন কার চেয়ে হাজার গুন বেদনা দায়ক, একাকিত্বময়, কষ্ট দায়ক। আমি আনন্দের চেয়ে  নিরানন্দ কে বেশি ভালবাসি। সবাই যদি আনন্দকে ভালোবাসে তাহলে নিরানন্দের কি হবে...?
আমার দুই-একজন কাছের বন্ধুরা ,মাঝে মাঝেই বলে তুই এমন নিরামিশ কেন...? Enjoy Life..তখন তাদের বলি - আমি একটু ভিন্ন, একটু আলাদা সবার থেকে...।। সবার মতই যে হতে হবে তা তো না, হই না আমি একটু ভিন্ন...ক্ষতি কি।। তাদের সান্তনা দেওয়ার জন্য তখন একটু হাসি , কেন যেন হাসতে পারি না। হাসতে ভুলে গেছি অনেক আগে।  সেই হাসিতে হয়তো ঠোটের কোনে হাসি থাকে কিন্তু তাতে প্রাণ থাকেনা...।।
ভেবেছিলাম কবিতা লিখবোনা আর, লেখালেখিও করবো না। ভেবেছিলাম কারো উপর অভিমান করবো কিন্তু কার উপর অভিমান করব...?? অভিমান করার মত কাউকে তো খুজে পাচ্ছি না...।। তখন ভাবলাম নিজের সাথেই অভিমান করবো...ধুর কি আবল-তাবল চিন্তা ভাবনা...।।  ফরিঙ তো নই যে উড়াল দিবো, তবে বৃথা চেষ্টা কখনো- সখনো দুর্দান্ত তৃষ্ণা জাগায়, এ তৃষ্ণা মনের তৃষ্ণা...।।

এখন কবিতা লিখতে হবে অন্তত অভিমান জমা রাখার জন্যে হলেও...