হীতের বিপরীত

কোনো কাজ করার আগে চিন্তা করে নিয়ে কাজে হাত দেয়া অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু যদি আপনি পুরো সময় চিন্তার পেছনেই কাটিয়ে দেন তাহলে তা কি খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে? সেটাও নয়। তাই চিন্তা করারও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। চিন্তা করে কাজ করা যেমন ভালো তেমনই অতিরিক্ত চিন্তা করাও ডেকে আনতে বিপদ। ভাবছেন কি করে? ভাবুন তো আপনার হাতে দারুণ একটি সুযোগ এসেছে যার সাথে ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। ঝুঁকির কারণে আপনি চিন্তা করতে বসে গেলেন আর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলো। এবার বলুন, আপনি কি করতে পারবেন। এরকমই অনেক ভাবে অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে জীবনে আপনিই ডেকে নিয়ে আসছেন বিপদ।

১) মানুষ কি বলবে তা নিয়ে চিন্তা:
আমরা সামাজিক জীব, আমাদের সমাজেই থাকতে হয়। আর সে কারনে কিছুটা হলেও চিন্তা করতে হয় সমাজ সংসার নিয়ে। কিন্তু তা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে আপনার বিফলতার দায়ভারও আপনারই থাকবে। কারন আপনার অতিরিক্ত অযথা চিন্তা আপনাকে সামনে এগুতে বাধাই দিতে থাকবে। অতিরিক্ত ভাব বেন না, কারন আপনি বিফল হলে এই সমাজের মানুষ আপনাকেই কথা শোনাবে।

২) ভবিষ্যতের অতিরিক্ত চিন্তা:
ভবিষ্যত নিয়ে আগে ভাগেই চিন্তা ভাবনা করা ভালো একটি কাজ। কিন্তু এই চিন্তা যদি আপনার বর্তমানের উপর প্রভাব ফেলে এবং আপনার ভবিষ্যত নষ্ট করতে থাকে তাহলে তা আপনার জন্য বিপদজনকই বটে। কি হবে ভবিষ্যতে তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে ভবিষ্যতটা উজ্জ্বল করতে বর্তমানে নজর দিন।

৩) জীবনের সুখ দু:খ নিয়ে চিন্তা:
জীবন টা সুখ দু:খ নিয়েই গঠিত, এই বিষয়টি যত দ্রুত মেনে নেয়া যায় ততই ভালো। তা না হলে জীবনে কতোটা সুখ পেলেন তা নিয়ে হিসেব কষতে গিয়ে চিন্তা করেই জীবন পার করে দিতে পারবেন। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করে কিছুই পাবেন না আপনি বিফলতা ও দুঃখ ছাড়া।