মেহেদীর ছোঁয়া

ঈদে মেহেদি দিয়ে নারীর হাত রাঙানোর রীতি দীর্ঘ দিনের। ছেলেরাও মেহেদী দেয় কিন্তু খুব কম। তাই ঈদ এলে মেহেদি পরার তোড়জোড় পড়ে যায়। দুই হাত ভরে মেহেদি পরে নিজেকে আরেকটু রঙিন করতে তো সবাই চায়। মেহেদির টিউব দিয়ে অনায়াসে করে নেওয়া যায় মনের মতো নকশা। হাতের পাশাপাশি পা কিংবা বাজুও রাঙিয়ে নেয় অনেকে মেহেদির রঙিন ছোঁয়ায়।
তবে আমার পছন্দের দিক থেকে পায়ের চেয়ে হাতে মেহেদী দেওয়া টাই বেশি ভাললাগে। দু' হাত ভতি করে মেহেদী দেওয়া সে এক অসাধারন অনুভুতি। মেহেদী ছাড়া হাত কেমন যেন খালি খালি লাগে আর সেটা যদি হয় কোন উৎসবে তাহলে তো কথাই নেই, মেহেদী ছাড়া চলেই না। কিন্তু আমার এই এতো পছন্দের জিনিসটাই আমার দেওয়া হয় না। সত্যি বলতে মেহেদী আমার অনেক পছন্দের আর মেহেদী মাখা হাত...উফফফ কি যে ভালো লাগে তা বলে বুঝানোর মতো না। ইচ্ছা করলেই দেওয়া যায় কিন্তু ঐ যে লজ্জা, কেমন যেন একটা সঙ্কজ কাজ করে। হাজার হলেও তো ছেলে মানুষ।ছেলেদের নাকি ওতো আল্লাদ মানায় না।
তার পরো দিতাম কিন্তু মেহেদী দিয়ে দিবে কে...?? আমি তো মেহেদী দিতে পারি না।আর আমি নিশ্চিত, আমি নিজে নিজে যদি মেহেদী দিতে বসি তাহলে হাত সম্পুণ মেহেদী দিয়ে ভতি হয়ে যাবে কিন্তু কোন নকশা হবে না। ভাবা যায় তখন কেমন দেখাবে...!!! আমার তো ভাবতেই হাসি পাইতেছে।
কারো কাছে গিয়ে যে বলবো আমাকে একটু মেহেদী দিয়ে দিতে তাও পারি না, যদি না করে দেয়। ইচ্ছা করে কি আর কেউ আমাকে মেহেদী দিয়ে দিবে...??? আমার মেহেদী কোন দিন-ই দেওয়া হবে না।
আমার কথা বাদ দিন, সামনেই ঈদ, তাই মেহেদি দিতে ভুলবেন না। মেহেদীর সাথে হাতকে রাঙ্গান নতুন রং-এ, নতুন আমেজে।