সব ভালবাসা আর কান্নাময় চোখ গুলো ভিজিয়ে ব্রেইন টিউমার আমাকে আর এই মায়া ভরা পৃথিবীতে বাঁচতে দিলো না..।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের।
আনন্দের এ জন্যই যে আমি চলে যাচ্ছি, শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার অস্তিত্ব।
আমাকে আর রাতের পড় রাত কষ্ট করে ঘুমহীন চোখে লোনাময় পানি ফেলতে হবে না।
আমাকে আর এই পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতা দেখতে হবেনা যেথায় মানুষ নামের অমানুষ বেড়ে যাচ্ছে দিনেকদিন...যাদের কষ্টে আমিও অনেক আহত হয়েছি।
শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলাম নিজের থেকে।
আর কষ্ট হচ্ছে “বাবা-মা” এর জন্য।
একটি মাত্র সন্তান আমি তাদের, কি নিয়ে থাকবে তারা...???
তাদের অসহায় করে চলে যাচ্ছি।
মা টার হাওমাও করে কান্নার শব্দ শেষ নিঃশ্বাস ছাড়া পর্যন্ত কানে ভেসে আসছিলো,
আর চোখে বাবাকে দেখতে পেলাম এক মুহূর্ত । পাথরের মত বসে আছে এক কোনায় আর পাথর থেকে যেনো টিপ টিপ করে পানি পড়ছে...।
আমার আপু টা কে দেখতে পারছিনা। হয়তো ভাইয়ার চলে যাওয়া সে কোনো অন্তরাল থেকে দেখছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকছে কিন্তু সে শব্দ যে কানে আসছে না।
কোনো উত্তর দেয়ার মতো শক্তি বা ক্ষমতা কোনোটাই পাচ্ছিলাম না।
শেষ বারের মতো চোখটা একটু খুলতে চাইলাম কিন্তু হঠাৎ করেই আমার প্রিয় নানা ভাই এসে গেলো ।
আমাকে বলতে লাগলো “নানা ভাই...আর তো চোখ খুলতে পারবেনা। খুলেই বা কি হবে বলো ? তারচেয়ে বরং আমার হাত টা ধরো এবং চলো”
আমি জিজ্ঞেস করলাম ‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমায়...???’
নানা ভাই বলল “সেটা গেলেই দেখতে পারবে, এই পৃথিবীতে তো আর তোমার যায়গা নেই নানা ভাই। এখন থেকে সেই আগের মতো আমার সঙ্গি তুমি।
তুমি আমার হাত টা ধরো”....।
মানুষের মৃত্যু মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যায় আমাকেও অনেক অনেক অনেক দূরে নিয়ে এসেছে তবে স্বত্বার কোনো মৃত্যু নেই আমার স্বত্বায় এখনো আমি বিচরন করি। মায়ের চোখের জলে বাবার থমকে যাওয়া চোখের ঝলকানিতে তবুও আজ বিচরন করি আমি পৃথিবীর মাঝে না হয় অন্য কোথাও স্বত্বার মাঝে খুঁজে পাই আপন হারানোর বেদনা টা কে হাসি সময়ের গতি দেখে মানুষের ভালবাসার সীমাবদ্ধতা দেখে তবুও ভাবি ‘মৃত্যু মানুষকে দূরে নিয়ে যায় তবুও কোথাও না কোথাও বাচিয়ে রাখে’
এখানেই না হয় মৃত্যু হলো আমার...
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের।
সত্যি বলছি ‘অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের ।”
মৃত্যুর শোক ভোলা সব চেয়ে বেশি সহজ। হয়তো আমাকে ভুলে যাবে সবাই। হয়তো মনেই করবে না কেউ আমাকে। প্রিয় কিছু মুখ, চেনা কিছু মানুষ, খুব আপন কিছু মানুষ, খুব খুব কাছের বন্ধু। মনে করবেই বা কেন...??? কি দিতে পেরেছি, দেওয়ার মতো হয়তো কিছু ছিলও না। আমাকে মনে রাখার মতো , আমাকে মিস করার মতো তো কিছু করি নি...।। খুশি হবে আপদ থেকে বাচবে বলে।
<মৃত্যুটা কাল্পনিক কিন্তু পরের গুলো বাস্তব >
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের।
আনন্দের এ জন্যই যে আমি চলে যাচ্ছি, শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার অস্তিত্ব।
আমাকে আর রাতের পড় রাত কষ্ট করে ঘুমহীন চোখে লোনাময় পানি ফেলতে হবে না।
আমাকে আর এই পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতা দেখতে হবেনা যেথায় মানুষ নামের অমানুষ বেড়ে যাচ্ছে দিনেকদিন...যাদের কষ্টে আমিও অনেক আহত হয়েছি।
শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলাম নিজের থেকে।
আর কষ্ট হচ্ছে “বাবা-মা” এর জন্য।
একটি মাত্র সন্তান আমি তাদের, কি নিয়ে থাকবে তারা...???
তাদের অসহায় করে চলে যাচ্ছি।
মা টার হাওমাও করে কান্নার শব্দ শেষ নিঃশ্বাস ছাড়া পর্যন্ত কানে ভেসে আসছিলো,
আর চোখে বাবাকে দেখতে পেলাম এক মুহূর্ত । পাথরের মত বসে আছে এক কোনায় আর পাথর থেকে যেনো টিপ টিপ করে পানি পড়ছে...।
আমার আপু টা কে দেখতে পারছিনা। হয়তো ভাইয়ার চলে যাওয়া সে কোনো অন্তরাল থেকে দেখছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকছে কিন্তু সে শব্দ যে কানে আসছে না।
কোনো উত্তর দেয়ার মতো শক্তি বা ক্ষমতা কোনোটাই পাচ্ছিলাম না।
শেষ বারের মতো চোখটা একটু খুলতে চাইলাম কিন্তু হঠাৎ করেই আমার প্রিয় নানা ভাই এসে গেলো ।
আমাকে বলতে লাগলো “নানা ভাই...আর তো চোখ খুলতে পারবেনা। খুলেই বা কি হবে বলো ? তারচেয়ে বরং আমার হাত টা ধরো এবং চলো”
আমি জিজ্ঞেস করলাম ‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমায়...???’
নানা ভাই বলল “সেটা গেলেই দেখতে পারবে, এই পৃথিবীতে তো আর তোমার যায়গা নেই নানা ভাই। এখন থেকে সেই আগের মতো আমার সঙ্গি তুমি।
তুমি আমার হাত টা ধরো”....।
মানুষের মৃত্যু মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যায় আমাকেও অনেক অনেক অনেক দূরে নিয়ে এসেছে তবে স্বত্বার কোনো মৃত্যু নেই আমার স্বত্বায় এখনো আমি বিচরন করি। মায়ের চোখের জলে বাবার থমকে যাওয়া চোখের ঝলকানিতে তবুও আজ বিচরন করি আমি পৃথিবীর মাঝে না হয় অন্য কোথাও স্বত্বার মাঝে খুঁজে পাই আপন হারানোর বেদনা টা কে হাসি সময়ের গতি দেখে মানুষের ভালবাসার সীমাবদ্ধতা দেখে তবুও ভাবি ‘মৃত্যু মানুষকে দূরে নিয়ে যায় তবুও কোথাও না কোথাও বাচিয়ে রাখে’
এখানেই না হয় মৃত্যু হলো আমার...
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের।
সত্যি বলছি ‘অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের ।”
মৃত্যুর শোক ভোলা সব চেয়ে বেশি সহজ। হয়তো আমাকে ভুলে যাবে সবাই। হয়তো মনেই করবে না কেউ আমাকে। প্রিয় কিছু মুখ, চেনা কিছু মানুষ, খুব আপন কিছু মানুষ, খুব খুব কাছের বন্ধু। মনে করবেই বা কেন...??? কি দিতে পেরেছি, দেওয়ার মতো হয়তো কিছু ছিলও না। আমাকে মনে রাখার মতো , আমাকে মিস করার মতো তো কিছু করি নি...।। খুশি হবে আপদ থেকে বাচবে বলে।
<মৃত্যুটা কাল্পনিক কিন্তু পরের গুলো বাস্তব >
Post a Comment