ভাবছিলাম লিখব না। কিন্তু মনটা অনেক খারাপ। লিখে যদি মনটা ভালো হয়...সেই কাল থেকে ভীষণ মন খারাপ, অনেক অনেক বেশি। কিন্তু আমার মন খারাপের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। মন খারাপ অথচ কারণ নেই !!! আসলে কারণ নেই তা না, কারণ আছে কিন্তু সে কারণ টা  ভিত্তিহীন, অর্থহীন। কেন এমন হয়...জানি না।।  একটা অর্থহীন সময়, অর্থহীন জীবন, যার কোন কূল খুঁজে পাচ্ছি না।
জীবন যাত্রার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কত কষ্টের মরুভূমি চলতে হয় তার কোন ইয়ত্বা নেই, নেই কোন দিগন্ত। দুঃখ-কষ্টের সীলা জীবনের ক্ষনে ক্ষনে বর্ষিত হয়, কোন সময় হয় মহাপ্লাবন। আর সেই প্লাবন-এ ভেসে যাই অজানা সীমানায়। জীবন একটা চেঁপে রাখা কষ্টের নাম কষ্টে ভরা বুকটা ফেটে যেতে চায়। ভীষণ পানির তৃষ্ণা পায়, ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মাটির মত। সেই তৃষ্ণা আর মিটে না, তৃষ্ণা ভরা বুকে বেঁচে থেকেও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হয়।
জীবন যেন কষ্টের এক চিলে কোঠা... যেখানে বসবাস কষ্টের ...শুধু-ই কষ্টের...।।

জীবন যে সাত রং-এ রাঙা ছিল তা না, তবুও  জীবন থেকে রঙ হারিয়ে গেছে। সাত রঙেতে আঁকা স্বপ্ন সব-ই
ধূলোয় মিশে একাকার। সেই সপ্ন গুলো আর স্বপ্ন হয়ে আমার চোখে আসে না। আলো আঁধারের জীবনে হারিয়ে গেছে জীবনের আলো। আলোটা না পেয়ে ভালোবাসি তাই রাতের কালো। সেই ছোট থেকে আলোহীন জীবন, আজ তাই আরেকটু বেশি কালো।। হারিয়ে গেছে ঠোঁটের কোণে হাসি, হাসতে ভুলে গেছি। সবাই দেখে সুখে আছি, ভালো আছি। খুব গোপনে আমি দুঃখে ভাসি, ভিতরটা কেউ দেখে না। মনের কথা, স্বপ্ন, আশা গুলো মনে জমা রয়ে যায়। একটি সময় সেই জমানো কথা, স্বপ্ন, আশা গুলো মনের গভীরে কবর দেই, নিজের হাতে মেরে ফেলি। মেরে ফেলতে একটুও কষ্ট হয় না, একটুও না।  চোখের ভাষা হারিয়ে জমেছে কঠিন নীরবতা। হারানোর শেষ সীমানায় এসে আজ বেঁচে থাকার আশাটা হারিয়ে ফেলেছি।। সব ছেড়ে লুকাতে চাই অজানা প্রান্তে।।

আমি অতি সাধারন একটা মানুষ ...

পৃথীবির প্রতিটি মানুষের কিছু আশা-আকাঙ্কা থাকে, থাকে সীমাহিন স্বপ্ন।
যেখানে সে তার জীবনকে সাজায় একান্তই তার নিজের মতকরে। আমারো তেমন একান্ত কিছু স্বপ্ন আছে, যায় কোন টাই প্রকাশ করতে ইচ্ছা হয় না।
জীবনের  প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মেলানোর চেষ্টা কখনো করিনি, হিসেব মিলিয়ে কি হবে...!! যা পেয়েছি তাতো পেয়েছিই, আর যা পাই নি তাতো নাই-ই। যেকোনো মুহুর্তকে সহজে গ্রহন করার মানসিকতা লালন করি আমি, জীবনকে সব সময় বুঝতে চেষ্টা করেছি অতি-স্বাভাবিক ভাবে। সব কিছু সহজ ভাবে গ্রহন করার মানসিকতা থাকলেও আমিতো বুঝি ভিতরের অবস্থাটা কি...!!!
বন্ধুরা বলে আমি নাকি বিপদেও স্থির, শান্ত। কষ্ট পেলেও হাসতে জানি, পাশের মানুষ টিকে বুঝতে না দিয়ে চলতে জানি।। পাশের মানুষটি বুঝলো না এটা তার ব্যর্থতা।। যা ঘটলো আর যা ঘটমান তা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়, মনে হয় এরকম ঘটার-ই ছিল।।
মানুষ যখন যা করে তার অনেক টাই হয়তো ঐ সময়ে ভেবে করে না। কারো অতীত দিয়ে তার বর্তমানকে মূল্যায়ন করা অনুচিত। কিন্তু আমরা সব সময় এটাই করে থাকি।

কোন এক কবি বলেছিলেন- "যার মুখোশ যত সুন্দর, পৃথিবীর কাছে সে তত আকর্ষণীয়"।। পৃথিবীর কাছে আমি কেমন তা এখনো জানি না, জানতে পারবো বলেও মনে হয় না। তবে কবির বক্তব্য অনুযায়ী- পৃথিবীর মানুষ গুলোর কাছে আমি মোটেই আকর্ষনীয় কেউ নই, আমার প্রধান দূর্বলতা আমার "মুখোশ"।। সে এতই নিম্ন পর্যায়ের যে, যা করি বা যা-ই বলি সবই প্রকাশ্যে। যা সত্য মানি, যা মিথ্যা বুঝি তার কিছুই মুখোশে লুকাতে পারি না। লুকাতে পারি না নিজের আন্ত সত্বা কে।।


ভালবাসা কি...?? অনেক সময় এর সংজ্ঞা জানতে ইচ্ছা করেছে, কিন্তু পাই নি।
ভালবাসা একেক জনের কাছে একেক রকম। একেক জন, একেক ভাবে ভালবাসে। তাই কারো সাথে কারো ভালবাসার সংজ্ঞার মিল হয় না।
ভালবাসার কোন সংজ্ঞা হয় না। ভালবাসা বুঝতে হয়, ভালবাসা বুঝাতে হয়।

মাঝে মাঝে আমার অদ্ভুত ভাবে ভালবাসতে ইচ্ছে করে, অদ্ভুত ভাবে ভালবাসা পেতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে কোন এক কুয়াশা ঢাকা দিনে বা হালকা বৃষ্টি ভেজা দিনে তার সামনে গিয়ে দাঁড়াবো। তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবো কিছুক্ষণ, কতক্ষণ তাকিয়ে থাকবো তা জানি না। তার পর চলে আসবো। চোখে চোখে ভালবাসা আদান- প্রদান হয়ে যাবে, মুখে বলবো না।

আমাদের কথা হবে চিঠির মাধ্যমে। আমি তাকে চিঠি লিখবো, সে আমাকে চিঠি লিখবে। আমার চিঠির অপেক্ষায় পথ-পানে চেয়ে থাকবে, অপেক্ষার দিন গুনবে। তার পর একদিন আমার চিঠি পেয়ে খুশিতে আত্ন হারা হয়ে দু-চোখের নোনা জল ফেলে আমার চিঠির উত্তর দিবে। নোনা জলে চোখের কাজলে লেপটে যাবে গাল আর সেই কাজল কালো চোখের পানির ফোঁটা পরবে প্রতিটা চিঠির পাতায়।
তার ফোন ভাঙবে আমার ঘুম, শুরু হবে তার সাথে নতুন একটি দিন। নতুন করে ভালবাসা প্রতিটি দিন।
"নিঃস্বাপ তার ভালবাসা, নিঃস্বাপ তার মন। চোখের পানিতে ভিজে যাবে আমার দু-নয়ন।।"




বিঃদ্রঃ সবই কাল্পনিক। বাস্তবে এর কোন রূপরেখা নেই।। এখনকার এই আধুনিক যুগে এ রকম আদিম যুগের ভালবাসা কল্পনাতেই পাওয়া সম্ভব, বাস্তবে না।।




জীবনের সব কিছু নিজে নিজে তৈরী হয় না, না চাইতেই পাওয়া যায় না।
"প্রেমে পড়া" এবং "ভয় পাওয়া" - এই দুটো অনুভূতি যখন একই সাথে বুকের ভেতর তৈরি হয়, তখন সেই প্রেম-টুকু কখনোই ভালোবাসায় পরিণত হয় না ।।
"প্রেমে পড়া" নামক ব্যাপারটা অনেকটা মাছের কাঁটার মত। হুট করে গলায় বিঁধে যায়,  তারপর যতবার-ই মানুষটা চোখের সামনে আসে, ততবারই ওটা খচ করে গলার ভেতরটায় আঘাত করে।।
কাঁটার আঘাতের ভয়েই মানুষটাকে কখনো মুখ ফুটে বলা হয় না কথাটা ।। অথচ ভয় না পেলে গল্পটা অন্য রকম হতে পারতো ।। সব কিছু শুনে মানুষটা খুব যত্ন করে এক মুঠো ভাত নিজ হাতে খাইয়ে দিলেই গলার কাঁটাটা সারা জীবনের সরে যেতে পারতো।। কিন্তু ঐ যে ভয়...।।
"না থাকুক, না বলাই থাক" - বলে তুমি স্বেচ্ছায় হেরে গেছো ।। একটু হাসি দিয়ে বলছো, "আরেহ ভালোই তো আছি "। আসলেই কি ভালো আছো...!!!
সবাই বলে, জীবনটা গল্পের মত সুন্দর না ।। আমি বলি, জীবনটা গল্পের চেয়েও সুন্দর।। শুধু চাওয়ার অপেক্ষা, চাইতে হয়।। তুমি চাইলেই তোমার গল্পটা অন্যরকম হতে পারে,  শুধু তুমি পা বাড়ালেই নতুন একটা পথ তৈরি হতে পারে ।। কিন্তু আমরা এই চাওয়া টাই মুখ ফুটে চাই না।।
সামনের পথের বাঁকে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পেয়ে থেমে যাওয়া মানে জীবনের কাছে হেরে যাওয়া। এক সময় টের পাবে "হারিয়ে যাওয়া"-ই ভালো ছিল ।। "হেরে যাওয়া" আফসোসের,  ভীষণ ভীষণ আফসোসের।। জীবনে এমন কিছু বাকি রাখা যাবে না যা পরবর্তীতে আফসোসের জন্ম দেয়, সারা জীবন একটা আফসোস নিয়ে বাঁচতে হয়।।
বুকের ভেতর অদ্ভূত একটা আফসোস আর একটু খানি চাপা যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখে বেঁচে থাকা যায় ঠিকই ।। কিন্তু, এমন ভাবে বেঁচে থাকার নাম বাঁচা না, এটার নাম জীবন না...।।

MARI themes

Powered by Blogger.