চিন্তার বাহিরে অনেক কিছু ঘটে যা আমরা কল্পনাতেই ভাবিনা। সে ভাবনা গুলো এতোটাই অকল্পনীয় যে আমাদের ভাবনাতেই আসে না।
খুব কাছের মানুষটা একদিন তোমাকে Facebook থেকে ব্লক করে বসবে, তুমি হয়তো সেই চিন্তা  করোনি কখনো, ভাবনাতেই আনোনি কখনো। তুমি হয়তো মনে করবে তার ID deactivate করে রেখেছে, কিন্তু একটা সময় তুমি বুঝে ফেলবে তার ID ঠিকই আছে শুধু তার ID-তে তুমি নামের কেউ আর বসবাস করে না। তুমি বিশ্বাস করতে চাইবে না, তোমার বিশ্বাস হবে না। অনেকটা কষ্ট হবে তোমার, অনেক বেশি কষ্ট হবে। যে কষ্টে বুকের ভেতর কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে চুড়ে একাকার করে দেবে প্রতিরাতে, প্রতিটা মুহূর্তে...।।

কিন্তু সে যদি তার জীবন থেকে তোমায় একেবারে ব্লক করে বসে তখন তোমার কষ্ট হবে না শুধু এটাই বলবো তখন তোমার বাঁচতে ইচ্ছে হবে না। সেই কষ্টের পরিমাণ এতো বেশি হবে যে তুমি বুঝতেই পারবে না কি ঘটে গেলো। যেমন মানুষ ২০-২০,০০০ ডেসিবলের কম বা বেশি হওয়া শব্দ শুনতে পায় না। তেমন-ই তোমার কষ্টটাও সেই মাত্রায় হবে।।

দিনে দিনে একটু একটু করে মারা পরবে তুমি নামের সেই হাসিমাখা, চঞ্চল - উচ্ছল মানুষটা। যে মরাটা কেউই দেখবে না, ঐ মরার কষ্ট কেউ বুঝবে না। এই ক্ষমতা কারো হয় না, কারো নেই, শুধু তুমি বুঝতে পারবে।।

দিনে রাতে প্রতি ঘণ্টায় ১০ বার মানুষটার Timeline-এ ঘুরে- ঘুরে ঐ মানুষকে কিছুক্ষন পর পর নক না করলে, তার প্রতি সেকেন্ডের খবর না জানা হলে তোমার পেটের মাঝে কোন ধরনের খাবার প্রবেশ করতো না কিন্তু ঐ মানুষটা একটা সময় তোমায় ব্লক করে বসে আছে।। কতোটা কষ্ট লাগবে...!!! ভাবতেইতো তোমার বুকটা কেপে উঠে, যদি সত্যি এমনটা হয় তখন কি করবে...!!!??
এটা কোন কষ্টের ব্যাপার না। নতুন একটা আইডি খুলে তাকে তুমি আবার দেখতে পাবে, কিন্তু সেটা এক পক্ষীয় হবে। তবে মনকে সান্তনা দিতে পারবে না।

হ্যাঁ... এটা একটা সময় সয়ে যায়, সয়ে যাবে । একটা সময় অশান্ত মনটা শান্ত হয়ে যায়, অশান্ত মন শান্ত হতে বাধ্য হয়। একটা সময় চেনা মানুষ অচেনা হয়ে যায়। একটা সময় প্রিয় ছবির ফ্রেমের উপর ধুলো ময়লা একাকার হয়ে যায়।। যে ফ্রেমটা তোমার, তোমার নিজের হাতে গড়া স্বপ্ন গুলোর।।

সামান্য একটা Facebook account- দিয়ে মনের অনুভূতির ভালোবাসার প্রকাশ হয় না। ভালোবাসা অনুভব করার জন্য গায়ের খানিকটা গন্ধের প্রয়োজন হয়, চোখে চোখে কথা বলা প্রয়োজন হয়। সেটা হারিয়ে গেলে মহা বিপদ । জীবন থেকে একেবারে ব্লক করে দিলে তুমি মনটাকে কিভাবে সান্তনা দিবে...?? ? ভাবতে পারো...??? মন থেকে ব্লক করার আগেই মনে জায়গা করে নিতে হবে, মনের অধিকার স্থায়ী করে নিতে হবে।। তবেই তুমি তোমার তুমিকে তার মাঝে ফিরে পাবে।। তোমার মনের যত্নে বুনা স্বপ্ন গুলো বাস্তবে রুপ দিতে পারবে।।

যে মানুষটা একবার কষ্ট পেয়ে কষ্টের বন্ধু হয়ে গেছে, তাকে আর নতুন করে কষ্টের সাথে বন্ধুত্ব করা যায় না, তাকে আর কষ্ট দেয়া যায় না। কষ্টের নাম যাই হোক না কেন কষ্টের নাম ভিন্য হয় না। এক সময় সে কষ্টকে ভালোবাসতে বাসতে কষ্টকে সুখী করে তুলে এটাই স্বাভাবিক, এটাই বাস্তব । কেউ কারো দুঃখ কষ্ট আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না। কেউ কারো কষ্টে পাশে থাকে না, থাকতে চায় না। হয়তো দু-এক ঘন্টার জন্য কিছুটা সহানুভূতি দেখায়, উপদেশ দেয়। সেই কষ্ট গুলো আবার অনেকটা ভারি হয়ে তার কাছে চলে আসে... এটাই হচ্ছে পৃথিবীর কঠিনতম নিয়ম ।।।

অনেক দিন যাবৎ ইচ্ছে করছে কিছু লিখতে আবার কেমন যেন লিখতে ইচ্ছেও করছে না। কেমন যেন একটা দ্বোটনা কাজ করছে। কি লাভ হবে লিখে...?? আর লিখলেই বা কি ক্ষতি হবে...!!?? তবুও না বলা কিছু কথা বুকের মধ্যে গুমরে কাঁদে। নিজেকে প্রকাশ করতে বড় ভয় আমার। পাছে কেউ একা ভেবে দুর্বলতার সুযোগ নিতে চায়। এ পৃথিবীতে দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া মানুষের অভাব নেই। সবার মুখোই মুখোশে ঢাকা। ভিতরটা বোঝা যায় না...।।

অগোছালো এক জীবন। অনেক অজানা হাসি-কান্না, কষ্ট মাখা জীবনের জটিল হিসাব কোনদিন মিলাইনি, মিলাতে ইচ্ছাও নেই । যা পেয়েছি তার চেয়ে হারিয়েছি অনেক বেশি। এই হারানোটা হারানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ। অনেক কঠিন, প্রতিকূল,দুঃসময় পার করেছি।পার করেছি বললে ভুল হবে, এখনো করছি।। মাঝে মাঝে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হয় যার জন্য কোন ভাবেই ঐ মুহূর্তে প্রস্তু ছিলাম না, প্রস্তু নই আমি। যা ঘটে তা কখনো আদৌ ঘটতে পারে কিনা এটা ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় কেটে যায়। মাঝে মাঝে নিজেকে বুঝাতে পারিনা; এই পৃথিবীতে সবই ঘটতে পারে, সবই সম্ভব। তারপরেও জীবন থেমে নেই, সময়ের সাথে জীবন চলছেই।

জীবনে অনেক ভালো - মন্দ মানুষের দেখা পেয়েছি । ভালো মানুষদের মুখ গুলো সযত্নে তুলে রেখেছি বুক পাঁজরে। আমি যে কয়েকজন মানুষের সাথে মিশেছি তাঁরা সবাই ভালো, তবে এটা সত্য তাদের আমি বুঝতে পারিনি। তাদের ভিতরের মানুষত্বাকে আমার বোঝার মাঝেই বড় ভুল রয়ে গেছে। সেই না বুঝতে পারা ভুল গুলো মাঝে মাঝেই ভাবায় আমায়।

মাঝে মাঝে মনের মধ্যে কালবৈশাখী অস্থিরতা জাগে। সারাদিন ব্যাস্ততা শেষে যখন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরি খুব ইচ্ছা জাগে প্রিয় কোনো মানুষের আহ্লাদি আদর পেতে,অথবা অনেক দিনের জমে যাওয়া হাজারো গল্পের জাল বুনতে, একটু আহ্লাদি শাসন পেতে, একটু Caring পেতে। ইদানিং এই ইচ্ছে গুলো মনে খুব করে চেপে বসেছে। মনে হচ্ছে আমি খুব ক্লান্ত, ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত । ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছি শীতলতায়, মৌনতার আঁধারে। ক্ষয়ে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতায় । চোখ গুলো শীতল, বরফ হয়ে যাচ্ছে। যেখানে কোন অভিমানের দাগ নেই। আজ আমার আমিতে বড্ড দিশেহারা, আমার আমিতে হারিয়ে যাওয়া দিনকে দিন।


মাঝে মাঝে কিছু সময় এমন কিছু চিন্তা মাথায় আসে যা খুবই অকল্পনীয়। আসলে আমরা খুব কম সময়ই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করি, জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মেলানোর সময়, সুযোগ বা ইচ্ছে কোনোটাই আমাদের নেই। যেখানে জীবনকে নিয়ে চিন্তা করাই বেশি জরুরী। তবে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মিলাতে গেলে বেশির ভাগ সময়ই দুঃখ, কষ্ট আর হতাশা চলে আসে। তখন সময় গুলো, চলার পথ আরো কঠিন থেকে কঠিনত্বর হয়ে উঠে।

তবে মাঝে মাঝেই নিজেকে বা নিজ জীবন-যাপনকে নিয়ে খুব ভাবনায় বসি, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে- সেই সময়টা আসে হতাশার কিংবা ব্যর্থতার। নিজেকে বুঝতে চেষ্টা করে যাচ্ছি জন্মের পর থেকেই। আদৌ তিল পরিমান জানতে পেরেছি কিনা জানিনা...। না জেনে হতাশ নই, কারন আমি জানি যে- মানুষ মাত্রই আপন অজ্ঞ। আমিও তার ব্যতিক্রম নই…।

জীবনে মানুষ কি চায়...?? চাওয়া বলতে এখানে সুখি হতে কি চায় এটাই বুঝাচ্ছি। মানুষের চাওয়া কি খুব বেশি...!! না, মানুষের চাওয়াটা খুব সীমিত, খুবই কম। আর এই সীমিত চাওয়াটা যখন অপূর্ণ থেকে যায়, পূরণ হয় না তখনই মানুষ অসুখীতে ভোগে, হতাশায় দিন পার করে। এই সময়টায় এসেই মানুষ জীবনের হিসেব মিলায়, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির খাতা খুলে বসে।

জীবনে সুখে থাকায় সহজ উপায় হলো- আশেপাশে যা কিছু ঘটছে, তার সব কিছুকেই সহজ এবং স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করা। মনে বিশ্বাস রাখা যে- "অসম্ভব" বা "হতেই পারে না" বলে কিছু নেই। কাল-প্রেক্ষাপটে সবই সম্ভব এবং যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। কিন্তু আদৌ কি তা ভাবা বা মেনে নেওয়া সব সময় সম্ভব হয়...???


জীবন কতোটা সাধারন হয় বা কতোটা অসাধারণ...?? মাঝে মাঝে ভাবি- আমি তো সাধারন একজন, অতিসাধারন। সাধারনের চেয়েও হাজার গুণ সাধারন। হাজার মানুষের মাঝে আমার কোন বিশেষত্ব নেই।  হাজার মানুষ না ধরলাম শত মানুষ ধরলাম তারপর ভাবলাম নাহ্‌ আমার কোন বিশেষত্ব নেই। আর দশ টা পাঁচ টা মানুষের মত আমি অতি সাধারন। নিজের অজান্তেই সিধান্ত নিলাম কিছু একটা করি সাধারন থেকে অসাধারন হতে । হয়তো আমার মত অনেকেই আছে ভিন্ন কিছু করার সাধারন থেকে অসাধারন হতে। তবে আমার বিষয়টি অন্য রকম।

আমি মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে অনেক আতংকে থাকি। কারন, হঠাৎ করে কিছু করে ফেললাম নাতো কোন পরিকল্পনা ছাড়া...!! পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ করলে সে কাজে সফলতা খুব কম আসে, আবার দেখা যায় অনেক বেশি পরিকল্পনা করে রেখেছি কিন্তু সেই কাজটিই করা হয়নি। অনেক সময় দেখা যায় পরিকল্পনা করতে করতেই সময় পার করে দিয়েছি। এবার বলি বিপরীত টা । কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ফেলি বড় কোন কাজ । দেখা যায় কিছু ভুল আছে যা একই ভুল বার বার করি এবং প্রতিবার-ই বলি এরপর থেকে আর এমন হবে না কিন্তু তবু হয়ে যায়।

আমার একটা টা বড় দোষ হচ্ছে সহজে, খুব অল্পতে অন্যকে বিশ্বাস করা । সবার সাথে আমি কথা বলি না, বলার ইচ্ছাও হয় না। কিন্তু যার সাথে কথা বলতে একটু ভাল লাগে তাকে বিশ্বাস করে ফেলি সহজেই। তবে এর জন্য ঠকেছি কয়েক বার, যদিও এই ঠকাটা মাত্র দুই - একবার। কারণ হাজার মানুষের সাথে মিশি নি, হাজার মানুষকেও বিশ্বাস করি নি। বিশ্বাস করা মানুষের সংখ্যাও খুব কম, হাতে গোনা কয়েক জন। যখন কেউ বিশ্বাস ভাঙ্গে তা খুব কষ্টে হজম করি কিন্তু কিছুই বলতে পারি না। তারপর থেকে সিধান্ত নেই এরপর থেকে সহজে কাউকে বিশ্বাস করবো না। মোট কথা আমি মানুষ চিনতে পারি না, আবার অনেক সময় বেশি চিনে ফেলি যার ফলে বিশ্বাসটাও একটু বেশিই করি। ফলাফল বিশ্বাস ভাঙ্গা।

যুগের সাথে তাল মেলাতে যেন আমি বেতাল হয়ে যাচ্ছি। যাদের সাথে মিশছি, চলছি তারা যেন সবাই আমার থেকে একধাপ এগিয়ে। আমি যতই তাদের কাছে এগিয়ে যেতে চাই তারা আমাকে ছেড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। যার ফলে বরাবরই আমি তাদের পিছনে। তাঁরা একটু বেশিই Update.

মাঝে মঝে নিজের মধ্যে অনেক হতাশা কাজ করে। তবুও ভাবি একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে। সব চেয়ে খারাপ লাগে তখন যখন নিকট কেউ আমাকে অবহেলা করে, আমার বিশ্বাসটা ভাঙ্গে। পরে চিন্তা করে দেখি আসলে দোষ টা আমারই। সবাই সবার স্বার্থ দেখবে নিজেকে নিয়ে ভাববে এটাই তো স্বাভাবিক এর জন্য মন খারাপ করার কী আছে ...!! কিন্তু নিজের মনকে এটা বোঝাতে বরাবরের মতোই ব্যর্থ। তবে আফসোস লাগে আমি কেন পারি না তাদের মতো হতে।

যখন নিঃশ্চুপ, নিরিবিলী, নির্জন অন্ধকারে একা থাকি তখন মনে হয় দুনিয়াতে আমার মত সুখি আর কেউ নেই। এতো সুখ কৈ রাখবো এই চিন্তা করতে করতেই অসুখি হয়ে যাই। সুখি কি হতেই হবে...!!! সুখ Share-করার জন্যও তো একজন মানুষ প্রয়োজন, দুঃখ না'হয় নাই Share-করলাম। কৈ আমার চার পাশে অন্ধকারের ভিড়ে কাউকেই পেলাম না সুখ ভাগাভাগির জন্য। দুঃখের পাশে কেউ থাকতে চায় না, কেউ থাকে না। দুঃখ এমন একটা বিষাক্ত নাম যার নাম শুনলেই কাছের মানুষও দূরে চলে যায়।

জন্ম নিয়েছি তাই মৃত্যু অনিবার্য।  আমি যখন থাকবো না এই পৃথিবীতে তখন হয়তো আমার এই লেখা গুলো থাকবে। কেউ দেখবে, পড়বে বা কেউই পড়বে না। শুধু শুধুই থেকে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে এটাও অনিশ্চিত। কিছু দিন আমাকে আমার নিকট আত্নীয়রা মনে রাখবে কিন্তু একটা সময় ঠিক-ই ভুলে যাবে কারন, এটাই তো স্বাভাবিক। যে বন্ধুটি আমার সব চেয়ে কাছের, যে মানুষটা আমাকে পাওয়ার জন্য সব করতে রাজি সেই মানুষটাও আজ আমি মারা গেলে কাল মনে রাখবে না। আমার জন্য তাদের জীবন থেমে থাকবে না। আমার শূন্যস্থান অন্য কেউ এসে পূরণ করবে অথবা তারাই আমার শূন্যস্থানটা অন্য কাউকে দিয়ে পূরণ করিয়ে নিবে। আমাকে মনে রাখবে না কেউই, আমাকে মনেও পরবে না কারো। কারন, আমি কোন অসাধারন কেউ নই।  মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় অসাধরন কেউ হয়ে যাই আবার ভাবি না সাধারন থাকাই ভালো...।।

MARI themes

Powered by Blogger.