অনুভূতি গুলো আজ মৃত প্রায়,
ঝড়ে যাওয়া ফুলের মতো,
অবহেলায় আজ ইচ্ছেরা পড়ে রয় ..
চোখ ঝাপসা হয়েছে আজ নোনা জ্বলে,
স্বপ্নের লাশে ঘুণপোকারা বাসা বেধেছে মনে,
নেই কোন আর্তনাদ, নেই কোন হাহাকার,
নেই কোন ভয়…।।

হয়তো ক্ষাণিক পরেই এসে দাঁড়াবে -
মনের প্রথম মৃত্যু বা জীবনের শেষ অস্তিত্বের…।।
চাইনাতো আমি সুখের রাজ্যে ঘেরা রঙিন ছটায় আলোক বাতি,
আমি রবো সবার গল্প কাহিনীতে হয়ে নিস্তব্ধতার সাথী ।।

চন্দনের ধূপের সে বাসরের থেকে,
মাটির বুকেই করে নিবো আপন,
“মৃত্যু”- আমার দুয়ারে আজ তোমার নিমন্ত্রণ।
প্রতিদিন বার বার মরিবার থেকে আজ আপনি করিবো এ জীবন সমর্পণ ।।
একটু একটু করে জ্বলতে থাকা আশার প্রদীপ,
দমকা হাওয়ায় আজ নিভে যাক চিরতরে,
নিভে যাক মনের গভীর থেকে গহীনে...
আমি জ্বলে নিঃশেষ হয়েও এভাবেই রয়ে যাবো অগোচরে ।।

সন্ধ্যার সুখ তাঁরায় আমার স্মরণে কারো কাঁদিবে না মন,
হবে না এতোটুকু শূন্যতা, এতোটুকু না পাওয়ার বেদনা…।।

এজনম আমার বৃথাই গেল তাই সুখ গুলো করে যাবো দান ।
কারে বলিবো দাও ঠাই আমায়,
তোমার বুকে না হোক দু' চরণে দাও আশ্রয়,
ভালোবাসা না হয় লুটাবো তোমার চরণে হাজার বার…।।
এ আমার শেষ মিনতি রাখো তুমি একটি বার...

চির-বিদায়ের কালে পিছু ফিরে দেখি,
মায়ার বাঁধনে কেউ বাঁধেনি আমায়, বাঁধেনি কেউ মনের ঢোরে,
সবই সময়ের পরাজয়, মনের বড় পরাজয় ।।

কত ভোরের প্রার্থনা আমার বিফলে দিও নাকো সবি,
যাবার কালে দাও এতটুকু অধিকার মোরে-- হৃদয়ে ছবি আঁকি একবার,
ঝাপসা হোক তবু আমার …।।

ওগো মৃত্যু এসো আজ আমার দুয়ারে,
রইলো তোমার নিমন্ত্রন,
আজ মোরে দাও মুক্তি জীবন থেকে,
গ্রহণ করো এ জীবন সমর্পণ চিরতরে...।।


কিছু অভিমান আছে যাদের মনের কথা মনে রয়ে যায়, বাহিরে প্রকাশ পায় না। শুধু থাকে মনের গভীরে দীর্ঘশ্বাস। পৃথিবীর সব কিছুকেই একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়, কিন্তু কষ্টকে, খারাপ লাগাকে কোন নির্দিষ্ট সঙ্গায় সংজ্ঞায়ীত করা যায় না। কারন, কষ্ট এমন এক জিনিস যা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্ন হয়, সময় সময়ে ভিন্ন হয়।

একটি মানুষের মন আছে কি নেই, তাঁর ভাললাগা-খারাপলাগা আছে কি নেই সে যদি না বলে আপনি কিভাবে জানবেন...?? হুম, জানতে পারবেন একটি উপায়ে যদি আপনি তার চোখের দিকে একটু লক্ষ্য করেন। এই চোখের দিকে লক্ষ্য করাটা কিন্তু যেইসেই কাজ নয়। অনেক কঠিন কাজ, অনেক অধিকার-আপনত্ব থাকতে হবে তার প্রতি। তাকে এতোটা আপন ভাবার পড়েই কেবল আপনি তার চোখের দিকে তাকাতে পারবেন, তাকানোর ইচ্ছা জাগবে মনে। তাকে যদি আপনি আপন নাই ভাবেন, কাছের একজন নাই ভাবেন তাহলে কখনোই তার খারাপ লাগাটা আপনার মন ছুবে না, তার চোখের দিকে তাকিয়ে তার কষ্টটাও বোঝার ইচ্ছা হবে না। 

কিছু সময় আমি নির্বাক হয়ে যাই, স্তব্ধ হয়ে যাই। আজ কিছু ঘটনা আমি বলবো। কথা গুলো আমার খুবই ব্যক্তিগত, একান্তই নিজের। তবে কথা গুলো আজ খুব খারাপ লাগা থেকে বলচ্ছি।

কয়েক মাস আগে News-এ পড়েছিলাম আমার নিজ এলাকায় একটি অটো রিক্সা Accident-এ মা-ছেলে মারা গিয়েছে আর ছেলেটার বাবা হাসপাতালে। আমি তখনো জানতাম না এই তিন জন আমার পরিচিত, তাঁরা আমার ছোট বেলার Classmate-এর আপন ভাই। একদিন পর যখন জানতে পাড়লাম অন্য কারো মাধ্যমে তখন আমি সত্যি Shocked-হয়ে গিয়েছিলাম, বিশ্বাস-ই করতে পারছিলাম না যে এটা উনি হতে পারে। তখন আমি এতোটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যে কোন কথা বলার শক্তি আমার ছিল না, কিছু বলার ভাষা ছিল না। আচ্ছা আপনাকে আমি প্রশ্ন করি- এই রকম News-শোনার পর আপনি কি করতেন বা কি বলতেন...?? হয়তো আপনারো কিছুই বলার থাকবে না বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া, যেমনটা হয়েছিলাম আমি। কিন্তু সে আমাকে কিছু কথা শুনিয়েছিল...একজন মানুষ মারা গিয়েছে সে দিকে আমার কোন অনুভূতি নেই, আমার কিছুই বলার নেই, মন বলতে আমার কিছু নেই, নিষ্ঠুর - পাষণ্ড আরো কিছু কথা। কথা গুলোর জবাব আমি দেইনি। যদিও আমার Classmate-এর কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়েছিলাম যতদিন সে ঢাকা হসপিটালে ছিল, তার পড়েও অন্য কয়েক জনের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। 

সব সময় আবেগ প্রকাশ করা যায় না, খারাপ লাগাটাও প্রকাশ করা যায় না। বিশেষ করে আমি প্রকাশ করতে পারি না। অনেক সময় কারো কষ্ট দেখলে আমি চুপচাপ থাকি যেন কিছুই হয়নি, অনেক সময় এড়িয়ে যাই। এড়িয়ে যাওয়া মানে এই নয় যে বিষয়টি আমার মনে দাগ কাটেনি। এড়িয়ে গেলেও বিষয়টা মন থেকে ঠিকই অনুভব করি, মনে রয়েই যায়। অনেক সময় এমন হয় যে কেউ আমাকে খুব কথা শুনাচ্ছে, আমাকে আঘাত করে কথা বলচ্ছে। আমার প্রচণ্ড রকমের কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমি পাশের মানুষটাকে বুঝতে দিচ্ছি না। তার সাথে হাসি মুখেই কথা বলে যাচ্ছি। সে হয়তো ভাবচ্ছে আমি তার কথায় কোন কষ্টই পাচ্ছি না, কোন খারাপ লাগার অনুভূতিই হচ্ছে না। কিন্তু ঐ সময়টা যদি সে আমার চোখের দিকে একটু লক্ষ্য করতো তাহলে হয়তো আমি ধরা খেয়ে যেতাম। নিজের খারাপ লাগাটা, কষ্টটা লুকিয়ে রাখার যে চেষ্টাটা করছিলাম তা আর সফল ভাবে করা হয়ে উঠতো না আমার। এমনো সময় হয়েছে যখন আমাকে চোখে পানির ঝাপটা দিতে হয়েছে কারণ, চোখের পানি আমি আটকাতে পারচ্ছিলাম না। কিন্তু সে বোঝেনি বা পাশের মানুষটি বোঝে নি। ভেবেছে হয়তো চোখে ময়লা লেগেছে বা অন্য কিছু।

কথায় আছে ছেলেদের নাকি চোখে পানি আসতে নেই, চোখে পানি আসলেও কাউকে দেখাতে নেই। ছেলেদের নাকি কঠোর হতে হয়।  আমার খারাপ লাগাটা কখনোই আমি কাউকে বুঝতে দিতে চাই না, বুঝতে দেইও না। ভালোলাগার অনুভূতি গুলো সবার সাথেই বীনা বাঁধায় Share-করতে পারি, Share-করি। কিন্তু খারাপ লাগার অনুভূতি কখনোই কাউকে বলার সাহস পাই না, কেনন যেন ভিতর থেকে বলার ইচ্ছা হয় না। যাকে বলবো সে যদি উপহাস করে, এমনো হতে পারে তার হাতে সময় নেই, হয়তো সে শুনতে ইচ্ছুক না। যে মানুষটার জন্য আমার মন খারাপ বা আমার ভিতরের সব ওলট-পালট হচ্ছে তার সামনে এমন ভাবে কথা বলি সে বুঝতেই পারে না যে কতোটা খারাপ আমার লেগেছে। কেন যেন কখনো নিজেকে প্রকাশ করতে ইচ্ছে হয় না, কেন যেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতেই ভাললাগে। ভাললাগে নিজেকে নিজের মাঝে আবদ্ধ রাখতে, নিজের চার পাশে একটা খোলসের মতো আবরণ রাখতে। আচ্ছা আমি যদি তার সামনে প্রকাশ করতাম তাহলে কি হতো...?? কিচ্ছুই হতো না, সে হয়তো এটাকে নেকামো ভাবতো বা অন্য কিছু...।। সে যদি বুঝতোই আমার খারাপ লাগবে, কষ্ট হবে তাহলে সে ঐ কাজটি হয়তো করতোই না... জীবনটা এমনি...!! কষ্ট - খারাপ লাগার অনুভূতি, আবেগ কখনো বোঝানো যায় না...।। 

আবেগের কথা যখন এসেই গেলো তাহলে আর একটি ছোট্ট ঘটনা বলি---

আজ থেকে প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে। আমি তখন ক্লাস ২-৩ তে পড়ি। খুব শখ ছিল কবুতর, মুরগী পোষার। খুব সখের বশে কয়েকটা বাচ্চা মুরগী - মোরগ কিনেছিলাম পোষার জন্য। পাখি গুলো আমার এতোটাই শীকারি হয়ে গিয়েছিল যে প্রতি দিন সন্ধ্যায় আমার হাতে উঠে খাবার খেতো। বিষয়টা আমার অনেক ভালোলাগতো। হঠাৎ একদিন একটি মুরগীর অসুখ হলো। আম্মু ঐ মুরগীটা জবাই করবে কিন্তু আমার সখের মুরগী বলে কথা...!!! জবাই করা চলবে না...।। বলে দিলাম বাঁচলে বাঁচবে, যদি মারা যায় তাহলে মারা যাবে তবু জবাই করা যাবে না। অবশেষে মুরগীটা বেঁচে গিয়েছিল। 
ঐ যে একটা মায়া কাজ করতো মুরগীর প্রতি সেটা আজো রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দেশি মুরগীর মাংস আমি খেতে পারি না, কষ্ট লাগে, মায়া লাগে। 

এই ঘটনাটি বলার অর্থ হলো আমি ততোটা পাষণ্ড নই। একটা মানুষের বাহিরের কঠোরতা দেখে তার ভিতরের অবস্থা বিচার কথা ঠিক নয়। কঠোরতা হলো শক্ত খোলেসের মতো, যেখানে নিজেকে লুকানো যায়। কেউ একজন হয়তো আমার সেই শক্ত খোলসটা ভেঙ্গে নরম মনটা খুঁজে নিবেই, হয়তো কখনোই কেউ পারবে না। আমারও অনুভূতি আছে, আবেগ আছে, আছে মন...।। কষ্ট লাগার অনুভূতিটা আমারও আছে, কষ্ট আমারও লাগে। অনুভূতি শূন্য আমি নই...।। 

খুব ছোট বেলা থেকেই একা একা বড় হয়েছি, খেলার সাথী ছিল না, ছিল না আড্ডা দেওয়ার মতো কেউ। Varsity Life-এ এসেও ঘুরা-ঘুড়ি, আড্ডা দেওয়া কি টা আমি এখনো বুঝি না...।। আমার মনে পড়ে না  Varsity Life-এ উঠে Varsity-তে বসে ৩-৪ জন বসে কখনো আড্ডা দেওয়া হয়েছে কিনা...।।
               আমি কতো একা,
      কতোখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে
বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত আমার জীবন...।।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি নেই, নেই আমার অস্তিত্বে...।।







মাঝে মাঝে পরাধীন হতে ইচ্ছা করে। কেউ একজন আমার স্বাধীনতাকে নিজের করে নিবে, আর আমাকে করবে পরাধীন। যে পরাধীনতা তেই আমি আমার সুখ খুঁজে নিবো। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কেউ একজন একটু আমার খোঁজ রাখুক, কেউ একটু শাসনের শুরে কথা বলুক, কেউ একটু ভালবাসায় আগলিয়ে রাখুক...।। কেউ একজন থাকুক যে আমায় নিয়ে ভাবুক, আমার অনুপস্থিতি একটু মন থেকে অনুভব করুক, কেউ একজন থাকুক...।। কেউ একজন অন্তত কাছে ডাকুক। 
কেউ একজন থাকুক যার কাঁধে ক্লান্তির অবসর বিকেলে মাথাটা নিঃদ্বিধায়  রাখা যায়, ঘামে ভেজা মুখটা যার আচলে নিঃদ্বিধায় মুছে নেওয়া যায়। একটু অধিকার থাকুক যে অধিকারের জন্য তার হাতটি ধরে নির্জন পথে খালি পায়ে হাঁটা যায়...।। একটু ভালোবাসার টান থাকুক যার জন্য রাগিয়ে থাকতে পারবে না, অভিমান ভুলে ভালোবাসার টানে কাছে ছুটে আসবে। আমার অনুপস্তিতি, আমার শূন্যতা তার মনে একটু হলেও চিন্তার রেষ আনুক, একটু হলেও ভাবুক...।।  
আমারও যে মন আছে কেউ একটু বুঝুক...।। 

Alarm- দিয়ে রাখতে রাখতে আমি ক্লান্ত। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কেউ একজনের ফোনের Call- এ আমার ঘুম ভাঙ্গুক। তার ঘুম জড়ানো কণ্ঠে আমার ঘুম ভাঙ্গুক। কারো মনে আমার জায়গাটা একটু হলেও থাকুক...।। 
কেউ কাছে এসে কানে কানে বলুক "ভালোবাসি"।
আমার মনে তাকে নিয়ে যে কবিতার ঝড় তুলতে ইচ্ছে করে সেটা কেউ পাশে থেকে বুঝুক...।।

আমারও যে ইচ্ছে করে চলার পথে হঠাৎ থেমে গিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে---
                      "আমার স্বপ্ন আজ
            এলোমেলো বাতাসে ডানা মেলে
              আমার এ মন খুজে তোমায়।"

মাঝে মাঝে যে আমরো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করে...। আমারও যে বলতে ইচ্ছে করে-- আমি আর তুমি মিলেই "আমরা", আমাদের স্বপ্ন, আমাদের অস্থিত্ব, আমাদের ভালোবাসা...।। 

বাদলা দিনে তার দেখা না পেয়ে আমারও যে বলতে ইচ্ছে করে--
       "তুমি যদি না দেখা দাও কর আমায় হেলা,
    কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা...??"

বৃষ্টি হলে আমারও যে কাউকে বলতে ইচ্ছে করে...
                             "বৃষ্টি ঝরলে
                    মনে পরে তোমার কথা,
              আমার মনে তোমার ছবি আঁকা,
                    কেন বোঝাতে পারি না...।"
কেউ অন্তত বুঝুক...।। কেউ  অন্তত বুঝুক আমিও ভালবাসতে পারি, আমারও ভালোবাসা পেতে ইচ্ছে করে। ভালোবাসার অভাবটা যে আমার বড্ড বেশি...।। কেউ সেটা বুঝুক... 

কিছু সময় আমরা কিছু খুঁজি, তবে সেটা মানুষের মাঝে। মানুষটার সবকিছুই ঠিক আছে। তার ভালোবাসার মধ্যেও কোন ভেজাল নেই, নেই কোন ছলচাতুরী। তোমাকে যেভাবে কেয়ার করা উচিত, তুমি যে রকম চাও ঠিক সেভাবেই তোমার কেয়ার করে আসতেছে। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়- তার প্রতি তোমার বিন্দুমাত্র কোন অনুভূতি কাজ করে না, কোন দিক থেকেই না। তার জন্য তোমার মনে একটু জায়গাও প্রসারিত হয় না, তার অনুপস্থিতে কখনো তার জন্য শূন্যতা অনুভব করো না, তার কোন কিছুই তুমি মন থেকে অনুভব করতে পারো না।

যে হাসলে তোমার দু'চোখ আনন্দে জুড়ে যাওয়ার কথা, সেখানে তোমার বিরক্তি আসে। যে কাঁদলে তোমার চোখে পানি চলে আসার কথা, সেখানে তোমার বুকে বিন্দুমাত্র কম্পন হয় না। বিন্দু পরিমান মনে খারাপ লাগার অনুভুতি হয় না। যে একদিন ফোন না দিলে তোমার অস্থির হয়ে যাওয়ার কথা, তার ফোনের অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে যাওয়ার কথা, কেন ফোন দিলো না এই দুঃচিন্তায় অস্থির হয়ে যাওয়ার কথা...সেখানে তুমি মনে মনে আরো খুশি হও। সে ফোন না দিলেও তোমার মনে হয় না কিছু, কোন শূন্যতা অনুভব করো না। কথা না বলে থাকার যে একটা আকুলতা তা অনুভব করো না। যে তোমার পাশে থাকলে মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা, তোমার মনের প্রতিটা স্পন্ধন জেগে উঠার কথা সেখানে তোমার দম বন্ধ হয়ে আসে। তার জন্য তোমার মনের কোন অনুভূতি প্রকাশ পায় না।

এই বিষয় গুলো কখন ঘটে ...?? হয় তুমি কাউকে অসম্ভব রকমের ভালোবাসো কিন্তু তুমি তাকে পাবে না আর নয়তো কাউকে অনেক ভালোবেসেছিলে কিন্তু তাকে পাওনি...।। এই দুইটি বিষয়ই তোমাকে অনুভূতি শূন্য করে দিয়েছে, তোমার মনের মধ্যে শূন্যতা এনে দিয়েছে।
কিন্তু ভুলটা তুমি এখন করচ্ছো...যাকে তুমি পাবে না বা যে চলে গিয়েছে তাকে নিয়েই বারবার নিজের মনের মাঝে স্বপ্ন বুনে। এই স্বপ্ন বুনা তোমাকে কষ্টই দিবে শুধু, সুখ এনে দিতে পারবে না। একটা সময় তুমি আর শূন্যতায় ডুবে যাবে আর এর জন্য দায়ী তুমি নিজেই। নিজেকে প্রশ্ন করো মিথ্যে স্বপ্নের পিছনে ছুটবে...?? নাকি যে তোমার জন্য স্বপ্ন বুনচ্ছে, তোমার হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখচ্ছে...তুমি তার কাছে গিয়ে তার স্বপ্ন সত্যি করবে...??

যাকে ভালো লাগে, তাকে বিনাকারণেই ভালো লাগে। ভালোলাগা থেকেই তার প্রতি অনুভূতি, তার প্রতি Expectation-বাড়তে থাকে।  আর যাকে ভালো লাগে না, তার শত ভালো কাজ দেখলেও ভালো লাগে না। যাকে ভালোবাসতে ইচ্ছা হয়, সে ভালো না বাসলেও ইচ্ছা করে। সে শত খারাপ হলেও, খারাপ কাজ করলেও, খারাপ ব্যবহার, অবহেলা - অনাদর, Ignore-করে গেলেও তাকেই ভালবাসতে ইচ্ছা করে। আবার যাকে ভালোবাসতে ইচ্ছা করে না, সে ভালোবাসতে বাসতে মরে গেলেও ইচ্ছা করে না। সে ভালোবাসা যতো স্বচ্ছ, পবিএ-ই হোক না কেন। যাকে ভাললাগে তার প্রতিটা কাজই ভাললাগে, প্রতিটা কাজই ভালোবাসা যায়...।। 

এই বিষয় গুলোর জন্য আসলে কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। পুরোটাই মনের উপর নির্ভর করে। তোমাকেই বুঝে নিতে হবে তুমি কাকে চাও, মন কি চায়। তোমাকে যে চায় তাকে চাও...?? নাকি যাকে তুমি কখনোই পাবে না, যে কখনোই তোমার হবে না তাকে...!?
মন এমনই এক মেশিন যার কন্ট্রোল আমাদের কাছে থাকে না। মন তার নিজ ইচ্ছায় চলতে থাকে। আমরা মনকে বাঁধতে চাইলেও পারি না। যদি মনের কন্ট্রোল আমাদের কাছে থাকতো, তাহলে কারো জন্য কারো মনে কষ্টের অনুভুতি হতো না, গভীর রাতে জেগে জেগে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতো না, ঘুমানোর জন্য ঘুমের বড়ি হাতে নেওয়া লাগতো না...।।

পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু কাজ আছে যা তার নিয়মের উপর বাঁধা। যেখানে শত রুলস প্রয়োগ করলেও সেই নিয়মের বাহিরে যাওয়া যায় না। তেমনি কিছু কিছু সত্যিকারের ভালোবাসাও তার যথাযথ মর্যাদা পায় না। কিছু ভালোবাসা পথের খোঁজে পথ হারায়, কিছু পথ শুরুতেই শেষ হয়ে যায়, অনেক সময় শুরু হওয়ার আগেই...।। তুমি ভালোবাসাটাকে, ঐ মানুষটাকে যতই মর্যাদা দিতে যাও না কেন কোন লাভ হয় না, হবে না।। হয়তো মানুষটা তোমার হাতের রেখায় নেই আর নয়তো সে তোমায় চায় না।

যে তোমার নয়, সে তোমার কোন দিনেই হবে না। যে তোমার হাতের রেখায় নেই, তাকে কখনো হাতের রেখায় বন্দি করতে পারবে না। অনেক সময় হাতের রেখার চেয়ে ঐ মানুষটার মনের উপর নির্ভর করে, ঐ মানুষটার মনের চাওয়ার উপর নির্ভর করে। ঐ মানুষটা যদি তোমাকে চায় আর তোমার অনুভূতি যদি তার প্রতি কাজ করে, তাকে চায় তবে জেনে রাখো সে তোমারই। 
আবার যে তোমার হবে, সে দশঘাটের জ্বল খেয়ে হলেও তোমারই হবে, তোমার কাছেই আসবে। তোমার হাতের রেখায় যে রয়েছে তাকে খুঁজতে হবে না, সে নিজেই তোমার হাতের রেখায় টুপ করে বন্দি হয়ে যাবে !!

মনে রেখো- "তুমি যাকে চাও তার চেয়ে তোমাকে যে চায় তার কাছেই তুমি সব চেয়ে বেশি সুখী হবে, ভালো থাকবে...।।"

MARI themes

Powered by Blogger.