আমরা অনেক সময়ই বলি সে আমার মতো না। আমার যা পছন্দ তার সেগুলো পছন্দ না, আমি যা করতে ভালোবাসি সেগুলো সে করতে ভালবাসে না। তার সাথে আমার যাবে না, তার সাথে আমার মিল হবে না। আসলে কি জানেন জীবনে চলতে গেলে দুটো মানুষ একরকম হলে সুখী হওয়া যায়না।দুইজন কে দুই রকম হতে হয়।একজন রোদ হলে আরেকজন কে বৃষ্টি হতে হবে। একজন অনেক রাগি হলে অপর জনকে ঠাণ্ডা মেজাজের হতে হবে। একজন অনেক বেশি কথা বলা স্বভাবের হলে অপর জনকে কম কথা বলার স্বভাবের হতে হবে।
কেউ কেউ তো প্রথমেই লাফিয়ে ওঠে যে আরে সে তো আমার মত, তার সাথে আমার স্বভাবের অনেক মিল সে নিশ্চয় আমাকে অনেক ভালো বুঝবে।এই ভাবনা টা একদমই ভুল। একই স্বভাবের দুইজন একসাথে থাকা মানেই ঝগড়া। যেমন একজন রেগে গেলে অন্যজনকে তো অবশ্যই মানাতে হবে। এখন দুইজনই যদি সমান তালে ঝগড়া করে তাহলে জীবন আর জীবন থাকবে না। জীবনের নাম হবে জাহান্নাম। আর এভাবেই শুরু হয় দু'জনের মাঝে দূরত্ব, সম্পর্ক নষ্টের বড় কারণ।
একজন হয়তো একটু অবুঝ, অপরজন যদি ভালোবেসে বোঝায় তবে সেই অবুঝ মানুষ টা নিশ্চয় বুঝবে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। সে ঠিকই বুঝবে অপর পাশের মানুষটি কি চাচ্ছে, কি বুঝাতে চাচ্ছে। একজন হয়তো একটু বেশি রাগী, অপরজন যদি গাল টা টেনে ধরে একটু আদর করে বলে এত রাগ করতে হয়না; চলো সব মিটমাট করে নেই। তাহলে দেখবেন আর রাগারাগি টা থাকেনা। ভালোবাসা আরও বাড়বে। একজন অভিমান করলে অপরজন যদি অভিমান টা ভাঙায় তবে সেই অভিমান গভীর ভালোবাসায় রুপ নিবে। এখন দুই জন'ই যদি অভিমান করে বসে থাকে তাহলে সেই অভিমান কখনোই ভালো কিছুর রুপ নিবে না। দুইজন মানুষ একসাথে থাকলে ছোট খাটো ঝগড়া হবেই। ঝগড়ার সময় একজনের চুপ থাকতে হবে নাহলে ঝগড়া বাড়তেই থাকবে। বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হলো দুইজন ব্যক্তি একই রকম হওয়া। একজন অনেক বেশি কথা বলা স্বভাবের হলে, অপর জনকে সেই কথা হাসি মুখে শুনতে হবে। এখন দুই জনই যদি একই ভাবে কথা বলে তাহলে কে কার কথা শুনবে।
Post a Comment