যে মানুষটা তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, সে মানুষটাই তোমাকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করে। কারন একটাই, তোমাকে হারানোর ভয়। সে তার সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তোমাকে চায়। তোমাকে হারাতে চায় না বলেই তার এতো সন্দেহের আয়োজন। সন্দেহ যে তোমাকে করে বিষয় টা এমন না। তার ভয় তোমার আশেপাশের মানুষদের নিয়ে।
মানুষ প্রথম যখন প্রেমে পড়ে, তখন উচিত অনেক ভেবে চিন্তে প্রেমে পড়া। কারন ক্ষুদ্র জীবনের পথ চলায় এমন অনেকের সাথে দেখা হবে যে তোমার প্রিয় মানুষটির চেয়ে সুন্দর, তোমার প্রিয় মানুষটির চেয়ে অনেক বেশি ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, অনেক বড় কোনো ভার্সিটির শিক্ষার্থী নতুবা বড় কোনো কোম্পানির একজন চাকুরিজীবী। তখন যদি তুমি তোমার প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে নতুন কারো হাত ধরে চলে যাও, তখন সে তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকবে কি করে? তোমাকে ছাড়া যে তার পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায় তখন!
মানুষ নাকি আবেগের বশে বলে, 'আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না'। এটা হয়তো সত্য। অনেক মানুষ বললেও খুব কম মানুষ এটা করে দেখিয়েছে। কিন্তু একটা মানুষ কখন এমনটা বলে জানো? যখন সে তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তাইতো সবাই বলে, প্রেম নাকি অন্ধ। আসলেই তাই, প্রেম অন্ধ। একটা মানুষ কখন নিজেকে মেরে ফেলতে চায় জানো...? যখন তাকে বুঝার মতো, তার নীরবতা, শুন্যতা বুঝার মতো একটা মানুষও থাকে না।
তুমি যখন কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাও, তখন সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকে তোমার প্রিয় মানুষটি। যদি নতুন কারো সাথে তোমার সখ্যতা গড়ে ওঠে ! যদি নতুন কারো সাথে তোমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে ! যদি এর কারনে তোমাকে সে হারিয়ে ফেলে ! তাইতো সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকে তোমাকে নিয়ে। এটা তোমাকে হারানোর ভয়, আর তুমি ভাবচ্ছো এটা সন্দেহ...!!
রিলেশান থাকা স্বত্বেও অন্যের উপর গায়ে পড়া ভাব দেখানো ছেলে মেয়ের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। নিজেকে সিঙ্গেল শো করে তারা কেমন যেন একটু বেশি মজা পায়। কেননা সিঙ্গেলদের উপরই অন্যদের আকর্ষন বেশি থাকে। আর তাই বেশিরভাগই চায় নিজেকে সিঙ্গেল শো করতে। এতে করে ৫ জন সুদর্শন/সুদর্শনা তোমার দিকে এগিয়ে আসবে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য। কথার ছলে বন্ধুত্ব, এক সময় তা প্রেমের প্রস্তাব পর্যন্ত গড়ায়। আর তখন কেউ যদি তোমাকে প্রপোজ করে, আমি মনে করি তা মোটেও তার দোষের না। দোষটা তোমার, কারন প্রথমেই তুমি নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করেছো। যদি নিজেকে ডাবল শো করতে, তবে এ সম্পর্ক প্রপোজাল পর্যন্ত কখনোই গড়াতো না। ডাবল শো করতে না পারলেও যদি তুমি একটু দূরত্ব রেখে চলতে তাহলে হয়তো সে এই সুযোগ পেতো না। তুমি এখানে সবার সাথে মিশে আনন্দ করছো। আর ওদিকে তোমার ভালোবাসার মানুষটি কেবলই টিন্তায় ডুবে আছে। অপেক্ষায় থাকে, কখন তুমি তাকে একটি কল দিবে, একটু রিলাক্স করবে তাকে। একটু টেনশন ফ্রি করবে তাকে।
তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে বলেই তার এ চিন্তার আয়োজন। তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে বলেই তোমাকে নিয়ে অতশত ভাবে। তোমাকে হারানোর ভয় কাজ করে বলেই তোমাকে এতো বেশি সন্দেহ করে। আর তুমি এটাকে অনেক বড় অপরাধ মনে করো...!!
তুমি যখন একটা সম্পর্কে জড়াও তখন তোমাকে অবশ্যই সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হতে হবে, Dedicated-হতে হবে, Loyal-হতে হবে। নিজের মাঝে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনতে হবে, কিছুটা হলেও আশাপাশের মানুষদের সাথে একটু ভিন্ন ভাবে মিশতে হবে। কিছুটা হলেও তার মন বুঝতে হবে। সম্পর্কে জড়ানোর পরোও যদি নিজের খেয়াল খুশি মতো চলো তাহলে সম্পর্কটা হয়তো বেঁচে থাকবে কিন্তু ভালো থাকবে না।
অনেকে বলবে, ভালোবাসায় বিশ্বাস হলো সবচেয়ে বড় ব্যপার। দেখুন, সব গুলো সম্পর্কই বিশ্বাসের উপর ভর করে দাড়িয়ে থাকে। তারপরও কেন প্রতিদিন এতো এতো সম্পর্ক ভেঙে যায়। অনেকের ১ বছর, ৫ বছর কিংবা ৮-১০ বছরের সম্পর্কও এক সময় ভেঙে যায়। তবে কি তাদের মাঝে বিশ্বাস ছিলো না ? ছিল ঠিকি...সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকার পরও এক সময় কিছু সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর পেছনে ঠিক কোন কারনটাকে দায়ী করবো বুঝতে পারছিনা। তবে আমি মনে করি তাদের নিজেদের মাঝে বুঝাবুঝির ভুল ছিল। সম্পর্কের মাঝে Dedication-এর অভাব ছিল।
Thank You
ReplyDelete