নিজেকে চেনা
মানুষ যত বেশি নিজেকে চিনতে থাকে,
ভিড় থেকে ততো বেশি দূরে সরে যায়।
অতিরিক্ত লোকজন ভাললাগে না তার,
অযথা মাতামাতি এড়িয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় কথায় মন বসে না বেশিক্ষণ।
কাউকে কাছে ঘেষতে দেয় না- বরং দূরে ঠেলে দেয়।
ওরা একটা মুক্ত জেলখানার মতো হয়ে যায়,
দরজা বিহীন, দেয়াল বিহীন একটা মুক্ত জেল খানা।
সহজেই পালিয়ে যেতে পারে কিন্তু তাও সেখানেই আটকে রাখে সেখানে।
ওরা হুটহাট কারো সাথে কথা বলে না,
আবার যাদের সাথে বলে- সেখানে কথা শেষই হয় না।
আসলে ভিতর ভিতর নিজের সাথে ওরা এতো বেশি কথা বলে-
বাহিরে তার খুব সামান্য অংশই প্রকাশ পায়।
ওরা মাঝে মাঝে চলে যেতে চায়-
চলে যেতে চায় কোন এক অচেনা শহরে।
যেখানে কোন পরিচিত মুখ নেই।
এই শহরে অনেক পরিচিত মুখ-
অপরিচিত মুখ হয়ে সে ঘুড়ে বেড়ায়।
ওরা নিজের সাথে খুব সাচ্ছন্দ বোধ করায়-
অন্যের সাথে মিশে যেতে পারে না-
কিন্তু একবার মিশে গেলে ওদের থেকে ভালো সঙ্গী পাওয়া দুষ্কর।
ওরা নানা বিষয় নিয়ে পারদর্শিতার সাথে আলোচনা করতে পারে-
বাহ্যিক পৃথিবী ছাড়াও ওদের আলাদা একটা জগত থাকে।
যেখানে খুব যত্ন করে সাজিয়ে রাখে ভালোবাসা।
ওরা অসুস্থ বা মানসিক রোগে আক্রান্ত নয়-
ওদের সমস্তটা একটা বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে রাখে,
বাঁধ খুলে দিতে পারলে দূর_দুরান্ত পর্যন্ত ভিজিয়ে দিতে পারে।
তফাৎ ওই বাঁধ সবাই খুলতে পারে না।
হ্যাঁ, ওই বাঁধ সবাই খুলতে পারে না...।।